মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
বিএনপির ঢাকা জেলা সভাপতি ও ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক। নিজস্ব প্রতিবেদক:: বিএনপির ঢাকা জেলা সভাপতি ও ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক বলেছেন, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে গ্রাম্য সালিশীর নামে দখল চাঁদাবাজি করলে কোনো ছাড় নেই। বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ করা যাবে না।
শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত র্যালী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনার থেকে বিকেল ৪টায় একটি সুসজ্জিত র্যালী বের হয়।
র্যালীটি উদ্বোধনের প্রাক্কালে নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আশফাক বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জিয়াউর রহমানের সুদক্ষ নেতৃত্বে এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিব সরকার বাকশাল করে একদলীয় শাসন চালু করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছিলো। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করেছে। জিয়াউর রহমান এসে জুলুমতন্ত্র রোহিত করে সবাইকে অবাধ গণতন্ত্র দিয়ে রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। বিগত ১৭ বছরের সকল অনিয়ম প্রবর্তন করে মানুষ নতুন কিছু দেখতে চায়। বিএনপি সেই পথে আগাতে কাজ করছে।
ঢাকা-১ আসনের বিএনপি মনোনীত এ প্রার্থী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দোহার-নবাবগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ইছামতি নদীকে সচল করে পদ্মার সাথে সংযুক্ত করা ও ভরাট হওয়া খালের মুখ চালু করা হবে। এছাড়া মাদক সন্ত্রাস মুক্ত একটি ডিজিটাল অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি সকল নেতাকর্মীকে ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট আদায়ে কাজ করার আহবান জানান।

এছাড়া প্রতিটি নেতাকর্মীকে সাধারণ মানুষের সেবক হয়ে কাজ করতে বলেন। তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, দোহার নবাবগঞ্জ একটি প্রবাসী অধ্যষিত এলাকা। এখানে কোনো রকম দখল চাঁদাবাজি বা গ্রাম্য সালিশীর নামে টাকা নেয়া চলবে না। দলীয় যত বড় পর্যায়ের নেতা বা কর্মী হোক অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আলোচনা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালীটি শহীদ মিনার হতে বাগমারা বাজার পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির জেষ্ঠ্য সহসভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম খন্দকার, এরশাদ আল মামুন, তুষার আহমেদ, এম হাসান লিটু, মিজানুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আরশীন মাহমুদ, যুবদল নেতা ভিপি আকবর, পবন মাহমুদ, আব্দুস সবুর পিলু, মোক্তার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল, ঢাকা জেলা মহিলা দলের সভাপতি শামীমা রাহিম, ইয়াসমিন আক্তার, বিলকিস চৌধুরী, ছাত্রদলের ঢাকা জেলা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা সভাপতি ইসতিয়াক চৌধুরী প্রমুখ।